ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় জাহাঙ্গীর আলমের শো-ডাউন ও পথসভায় মানুষের ঢল

পেকুয়া অফিস ::  পেকুয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পথসভা ও শো-ডাউন হয়েছে। এ সময় সর্বস্তরের বিপুল পেকুয়াবাসী এ সব পথসভা ও শো-ডাউনে জড়ো হয়। নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে জন¯্রােত সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের ঢল নামে পথসভায়। ২১ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার টইটং বাজারে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থনে পথসভা হয়েছে। এ সময় ওই পথসভা প্রচন্ড ¯্রােতধারায় জনসভায় পরিনত হয়। হাজারো জনতার উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ওই দিন টইটং বাসীসহ পেকুয়াবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। এ সময় নির্বাচন নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। পেকুয়াকে নিয়ে তার ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বক্তব্যে উপস্থাপন করেছেন। এ সময় প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দোয়াত কলমের গণজোয়ার তৈরী হয়েছে। একে ঠেকানো যাবে না। হুমকি ও ধমকি দিয়ে মানুষকে দমানো যায় না। আমি আহবান করছি পেকুয়াবাসী ভোট দিতে যাবেন। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন সমাজ বিনির্মাণ ও স্বপ্নধারা বাস্তবায়ন করবেন। আমার সমাবেশে গুলি ছুড়েছে। যারা গুলি ছুড়েছে এরা কা-পুরুষ। এরা নির্বাচনকে নিয়ে ভয় পায়। ওই দিন পেকুয়ায় তার সমর্থনে শো-ডাউন হয়েছে। কলেজ গেইট চৌমুহনী, কবির আহমদ চৌধুরী বাজার ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও সড়কসমুহে দোয়াত কলম প্রতীকের শো-ডাউন হয়।

################

পেকুয়ায় সাংসদ ও দুই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ

পেকুয়া অফিস:

পেকুয়ায় সাংসদ জাফর আলমসহ দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পৌছালেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। রিটার্নিং কর্মকর্তা কক্সবাজার বরাবর দোয়াত কলম প্রতীকের এ প্রার্থী পৃথক দুটি অভিযোগ দাখিল করে। ১৭ মার্চ এ সব অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌছে। এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুষ্টু ও অবাধ, শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন করার যৌক্তিক দাবী উপস্থাপন করেছেন। চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য জাফর আলম নির্বাচনে একপেশী আচরন ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ আনয়ন করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের এ প্রার্থী। অভিযোগে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানায়, সংসদ সদস্য জাফর আলম নির্বাচনে আচরন বিধি ভঙ্গ করে এক প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আইনকে তোয়াক্কা করছেন না। নির্বাচন নিয়ে পেকুয়ায় সাংসদের প্রভাব স্পষ্টভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক সমাবেশ ও একটি সমাবর্তন অনুষ্টানে এমপি প্রকাশ্যে ভোট নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। এ বক্তব্য মুলত একপেশী। তার এহেন আচরনে অবাধ ও সুষ্টু, শান্তিপূর্ন নির্বাচন নিয়ে শংকা তৈরী হয়েছে। ভোটারদের হুমকি ও ধমকিতে প্রতীয়মান হচ্ছে এমপি এ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করবেন। মানুষ ও সাধারন ভোটার আতংকগ্রস্ত। একইভাবে দুই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ পৌছায়। মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি থেকে নির্বাচিত শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম ও টইটং ইউপি থেকে ক্ষমতাসীন দল থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দোয়াত কলমের এ প্রার্থী লিখিত অভিযোগে জানায়, এ দুই চেয়ারম্যান এলাকায় নির্বাচন নিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে হুমকি ধমকি দেয়। এমনকি কাজী বাজার ও সোনালী বাজারে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে অশালীন কথাবার্তাসহ অভদ্র গালি গালাজ করে। এ দুই চেয়ারম্যানের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কারচুপি ভোট ডাকাতির মত জঘন্য কর্মকান্ডের দিকে দৃষ্টিপাত করছে। এরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য পেকুয়ায় অত্যন্ত হুমকি। সুষ্টু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহন নিশ্চিত করতে হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ অত্যাবশ্যকীয়। এমতাবস্থায় উল্লেখিত অভিযুক্তদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নিমিত্তে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পৃথক দুটি অভিযোগ পৌছায়।

পাঠকের মতামত: